
বহু ফ্রিল্যান্সার ও বায়ারদের ফাইভার এ্যাকাউন্ট তাদের নিয়ম ভঙ্গের কারনে ডিজেবল বা সাসপেন্ড বা ব্যান করে দিচ্ছে। ফাইভার আপনার এ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড বা ব্যান করার আগে নোটিশ পাঠাতে পারে আবার কোন কোন ক্ষেত্রে না পাঠিয়েই একবারে ফাইভার আইডি ডিএ্যাকটিভ করে দেয়। Fiverr এ অনেকদিন ধরে কষ্ট করে কাজ করে ফ্রিল্যান্সাররা একটা ভালো প্রোফাইল তৈরি করার পর যদি কোনো কারণে সেই প্রোফাইল সাসপেন্ডেড হয় তবে সেটা খুবই কষ্টের। তবে একটু সতর্ক থাকলেই অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়া থেকে বাঁচতে পারি। Fiverr তাদের Rules ভঙ্গের জন্য অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে। আমরা অনেকেই Fiverr এর Terms of Service না পড়েই কাজ করি এবং নিজের অজান্তেই Rule ভেঙ্গে ফেলি। তাই কি কি কারণে অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে সেই বিষয়গুলো জানা দরকার। এখানে আমি কিছু সাধারন বিষয় তুলে ধরলাম যেসকল কারনে ফাইভার এ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড/ডিজেবল/ডিএ্যাকটিভ/ব্যান হতে পারে।
Reasons of Fiverr Account Suspension (ফাইভার একাউন্ট ডিসেবল বা সাসপেন্ড হওয়ার কিছু কারন)
১) ব্যক্তিগত তথ্য যেমন Email Address, Skype ID, phone number ইত্যাদি শেয়ার করার কারণে অ্যাকাউন্ট ব্যান হয় সবচেয়ে বেশি। Fiverr এ এই ধরনের কোনো তথ্য শেয়ার করা যাবে না। অনেকেই Image বা text file এর মাধ্যমে এসব তথ্য বায়ারকে দেয়, মনে রাখবেন Fiverr এর প্রাইভেট ম্যাসেজে যা কিছু শেয়ার করুন না কেন তা আসলে প্রাইভেট নয়। ফাইভারের বিশেষ টিম এগুলো পর্যবেক্ষন করে।
২) Fiverr এর নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যক্তির কেবলমাত্র একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে পারবে। একই ব্যাক্তির একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলে নিশ্চিৎভাবে আপনার আইডি ব্যান হবে।
৩) ফাইভারের বাইরে কোন ধরনের লেনদেন করলে বা চেষ্টা করলে বা কোনো বায়ারকে Fiverr এর বাইরে পেমেন্ট দেয়ার জন্য অনুরোধ করা, অথবা কোনো বায়ারের এই ধরনের অনুরোধে রাজি হওয়া এবং যদি তা ধরা পরে তাহলে এ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়।
৪) Fiverr এর ভিতরে স্প্যামিং করা অর্থাৎ বায়ারদেরকে অপ্রয়োজনীয় মেসেজ দেয়া বা কাজ করে দেওয়ার অফার করা এবং কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত পরিমানে কাস্টম অফার পাঠানো এবং তার কাছ থেকে রিপোর্ট গেলে আপনার এ্যাকাইন্ট ব্যান হতে পারে।
৫) নতুন সেলাররা অনেক সময় Fake Review, Fake Like, Fake Follower এসব সার্ভিস প্রদান সংক্রান্ত গিগ অফার করে অথবা নিজেদের এ্যাকাউন্টের জন্য কেনে যা ধরা পরলে ফাইভার এ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেয়।
৬) কোনো বায়ার বা সেলারকে ধর্ম, বর্ণ, জাতি ইত্যাদি নিয়ে অপমানজনক কথা বলা।
৭) Mutual Order এর মাধ্যমে Fake Review নেয়া বা দেয়া।
৮) অন্যের Copyright এবং Trademark করা কিছু বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা।
৯) গিগের description, Image বা অন্য কোনো কিছু অন্যের গিগ থেকে কপি করা।
১০) অ্যাডাল্ট/পর্নোগ্রাফি এই ধরনের কোনো গিগ অফার করা।
১১) খারাপ রেটিং এর পাশাপাশিযদি আপনার এ্যাকাউন্টে কাজের ব্যাপারে প্রচুর অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলেও আপনার এ্যাকাউন্প সাসপেন্ড হতে পারে।
১২) একই পেমেন্ট এ্যাকাউন্ট একাধিক ফাইভার এ্যাকাউন্টে লিঙ্কড থাকলেও আইডি সাসপেন্ড হয়। ধরুন আপনার পেপাল বা পেওনিয়ার কার্ড নেই। তখন আপনার বন্ধু আপনাকে ডলার উঠাতে সাহায্য করার জন্য তার পেপাল বা পেওনিয়ার কার্ড আপনার এ্যাকাউন্টে যুক্ত করতে দিল যেটি তার ফাইভার এ্যাকাউন্টেও যুক্ত অবস্থায় আছে সেক্ষেত্রে এ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হতে পারে। ফাইভার এক্ষেত্রে ধরে নেয় দুটি একাউন্টই একই ব্যাক্তির এবং উভয় এ্যাকাউন্টই সাসপেন্ড করে দেবে।
১৩) ফাঁকা অর্ডার ডেলিভারি দেওয়া।
এর বাইরেও আরো অনেক কারণ আছে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হওয়ার। কারো কাছে আরো তথ্য থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন। আশা করি সবাই Fiverr এর গাইডলাইন অনুসরণ করে চলতে পারব যাতে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্সনের কারণে বিশাল কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়।
১৪) নিজের সার্ভিস প্রোমোট করার জন্য অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সাররা বায়ার রিকোস্ট ফিচারটি ব্যাবহার করে। বায়ার রিকোস্ট ফিচারটি শুধুমাত্র বায়ারদের জন্য জব পোস্ট করার জন্য এবং সেলারদের জন্য সার্ভিস পোস্ট করার জন্য। ফাইভার তার টার্মস অফ সার্ভিসে স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছে যে কেই যদি এর অপব্যাবহার করে তবে তার আইডি ব্যান করা হবে।
আরও পরুনঃ Fiverr গিগ ইমেজ তৈরি এবং SEO করার টিপস
বেশির ভাগ নতুন ফ্রিল্যান্সাররাই ফাইভারে এ্যাকাউন্ট করার আগে বা পরে ফাইভারের TOS পড়ে দেখেনা ফলে তারা নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যায়। ফলে জেনেশুনে বা না জেনেও নিয়ম ভাঙ্গার কারনে ফাইভারে তাদের কষ্টের এ্যাকাউন্ট হাড়িয়ে ফেলে। তাই সবারই উচিত আগে TOS পড়ে নেওয়া। ফাইভার রুলস গুলো মেনে চলুন যেন অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড না হয়।