
Table of Contents
- 1 গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
- 2 গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে?
- 3 কী কী গ্রাফিক্স সফটওয়্যার শিখতে হবে
- 4 গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা:
- 5 গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কোথায় কাজ পাবেন?
- 6 গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় বা বেতন:
- 7 পেশা হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইন
- 8 ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার
- 9 গ্রাফিক্স ডিজাইন আউটসোর্সিং কাজের ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস:
- 10 কিভাবে গ্রাফিক ডিজাইন শিখবেনঃ
- 11 কোথায় কোর্স করবেন
- 12 ডিজাইন করার ক্ষেত্রগুলো কী কী?
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
গ্রাফিক্স শব্দটির অর্থ ড্রইং। গ্রাফিক্স শব্দটি সেই সব চিত্রগুলোকে বুঝায় যে চিত্রগুলোর সফল পরিসমাপ্তি ড্রইং এর উপর নির্ভরশীল। ডিজাইন শব্দটির অর্থ পরিকল্পনা বা নকশা। সহজ কথায় বললে গ্রাফিক্স ডিজাইন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে যে কোন তথ্য বা ছবি শৈল্পিক উপায়ে উপস্থাপন করা হয়। একজন ডিজাইনার তার কাজের মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যবহারকারির মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারেন এবং সংক্ষিপ্ত ও নান্দনিক উপায়ে তথ্য পৌঁছে দিতে পারেন।লোগো, ব্র্যান্ডিং, পাবলিকেশন, ম্যাগাজিন, পত্রিকা, বই, থেকে শুরু করে পোস্টার, বিলবোর্ড, ওয়েবসাইট গ্রাফিক্স, সাইন, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং পর্যন্ত কোথায় নেই গ্রাফিক্সের ব্যবহার! তুলনামূলকভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ইতিহাস খুব বেশিদিনের না হলেও এই টার্মটি সর্বপ্রথম ১৯২২ সালে প্রথম ব্যবহৃত হয়, উদ্ভাবকের নাম উইলিয়াম অ্যাডিসন উইগিংস। আর অ্যাডভার্টাইজিং এর জন্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ফাইন আর্টসের ব্যবহার শুরু হয় বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল পণ্য এবং বিভিন্ন সেবার বাজারকরণ কিংবা মার্কেটিং। সেই তখন থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের, নিত্যনতুন আইডিয়া আর ডিজাইন নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এগিয়ে এসেছে বহু পথ। কাজকে আরো সহজ করার জন্যে তৈরী হচ্ছে নিত্যনতুন প্রযুক্তি আর সফটওয়্যার। সেই সাথে তাল দিয়ে বাড়ছে ডিজাইনারদের চাহিদাও।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে?
প্রথমেই জেনে নিই গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে বা তার কাজ কী। তার আগে বলি, গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো আর্ট বা শিল্প। আসলে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলেন তিনি যিনি গ্রাহকের চাহিদানুযায়ী আর্ট, টাইপফেস, ইমেজ এবং অ্যানিমেশন ব্যবহারের মাধ্যমে তার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হন। এর আউটপুট ডিজিটাল বা প্রিন্ট উভয়ই হতে পারে। বর্তমানে কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যারের টুলস ও লেআউট ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজকে আরও বেশি ক্রিয়েটিভ ও গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
কী কী গ্রাফিক্স সফটওয়্যার শিখতে হবে
কম্পিউটারের সাহায্যে ডিজাইন করতে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেগুলোই হলো গ্রাফিক্স সফটওয়্যার। ডিজাইন জগতে বেশি ব্যবহৃত হয় এমন কয়েকটি সফটওয়্যার হলো এডব ফটোশপ, এডব ইলাস্ট্রেটর, এডব ইমেজ রেডি, কোয়ার্ক এক্সপ্রেস, পেজমেকার ইত্যাদি। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করার জন্য প্রথমে ন্যূনতমি এই কয়টি সফটওয়্যার শিখতে হবে। তবে Photoshop ও Adobe Illustrator এ দুটো টুল ছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল রয়েছে সেটা হচ্ছে Microsoft PowerPoint। নতুন ডিজাইনার হলে এটি দিয়ে শুরু করা উচিত!
এসব সফটওয়্যার বিভিন্ন কাজের জন্য বিশেষ উপযোগী। এডব ফটোশপ ও এডব ইমেজ রেডি ছবি সম্পাদনা ও ইফেক্ট সংযোজন করার কাজে পারদর্শী।
কোয়ার্ক এক্সপ্রেস ও পেজমেকার ব্যবহার করে প্রেসে প্রিন্ট করার প্রিন্টিং ফরম্যাট সাজানো হয়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য অনেক সফটওয়্যার রয়েছে। তবে কাজের ধরন অনুযায়ী সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে অনেক ধরনের সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিৎ। যত বেশি গ্রাফিক্স সফটওয়্যার জানা থাকবে কাজের মানও ভালো হবে।
এডোবি ফটোশপের দরকারি কিবোর্ড শর্টকাট এবং তার ব্যবহার
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা:
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনাকে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারি হতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষতা থাকলে অনেক ভালো করতে পারবেন। অনলাইনে ঘাঁটাঘাঁটি কিংবা বিদেশি বায়ারের সাথে যোগাযোগের জন্য ইংরেজি জানা একটি পূর্বশর্ত। এ ছাড়া বেসিক কম্পিউটিং সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে খুবই ভালো হয়; তাহলে আপনি যে কোন বিষয়ে অনলাইন থেকে সাহায্য নিতে পারবেন। আপনার যদি আঁকাআঁকি করতে ভালো লাগে তাহলে সেটা অবশ্যই প্লাস পয়েন্ট। এছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তবে এ পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে গ্রাফিক্স সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি প্রয়োজন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কোথায় কাজ পাবেন?
বর্তমান যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোনো যোগসূত্র নেই এমন বিষয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাদের পরিধেয় কাপড়-চোপড় তৈরি থেকে শুরু করে বাড়ি-গাড়ি, পণ্যের মোড়ক, টাইলসের কারুকার্য, মডার্ন পেইন্টিং, বুক কভার, স্টিকার, বিজ্ঞাপন, ক্যালেন্ডার, সফটওয়্যার ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এনিমেশন, টেক্সটাইল ডিজাইন ইত্যাদি সব কাজেই গ্রাফিক ডিজাইন অনস্বীকার্য। চাইলেই যে কোনো অফিস, ব্যাংক-বীমা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও বিভিন্ন কর্পোরেট হাউসগুলোতে চাকরি পেয়ে যেতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের একটি বড় ক্ষেত্র। যে কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণার জন্য দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের বিকল্প নেই। আগেই বলা হয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজের ক্ষেত্র বিস্তত। তবে যে জায়গায় বিশেষভাবে যে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা অনেক বেশি, তা নিচে দেয়া হল:
অনলাইন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
পত্রিকা/ম্যাগাজিন/প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান
প্রিন্টিং এবং ডিজাইনিং প্রতিষ্ঠান
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপিং প্রতিষ্ঠান
গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় বা বেতন:
প্রতি মাসে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় কত হতে পারে। বাংলাদেশে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ডিপ্লোমাধারীর বেতন মাসে সাধারণত ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মধ্যে হয়। তবে ব্যাচেলর ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীদের বেতন মাসিক ১ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি ডিজাইন করলে ৫ থেকে শুরু করে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তবে দক্ষতার ক্ষেত্রে ও বেশি ক্রিয়েটিভ কাজ হলে এটি ৫ হাজার ডলার পর্যন্তও হতে পারে। এ ছাড়া ওয়েবসাইটটের পেজ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। মূলত কাজের ধরন, মান ও ক্রিয়েটিভির ওপরই নির্ভর করবে আপনার আয়।
পেশা হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় পেশা। এ পেশায় বেতনটা নির্ভর করে দক্ষতার ওপর। এ সেক্টরে মাসে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা আয় করা যায় সহজেই। আর প্রথম সারির দৈনিক, টিভি চ্যানেল, অ্যাড ফার্মগুলোতে চাকরি হলে বেতন অনেক বেশি। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনারদের বেতন দশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে এক লাখ টাকা। তবে যদি ডিজাইনে আপনার সৃজনশীলতার প্রকাশ না থাকে তাহলে টিকে থাকাটাই কষ্টকর। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও আইডিয়া লেভেল ভালো না হলে তিনি হয়তো কাজ করতে পারবেন, তবে চ্যালেঞ্জে টিকে থাকতে পারবেন না। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বড় বড় কোম্পানিগুলোতে আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বিকল্প নেই। সুতরাং, সৃষ্টিশীল এ বিষয়েও যে কেউ গড়তে পারেন নিশ্চিত ক্যারিয়ার। উচ্চমানের চাহিদা সম্পন্ন একটি প্রফেশন হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। কাজেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের আপনার আগ্রহ থাকলে একেই আপনি নিজের পেশা হিসেবে গ্রহণ করে নিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার
অন্যান্য চাকরির থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশাটি নিরাপদ ও ঝামেলাবিহীন। নিরাপদ ও ঝামেলাবিহীন বলার কারণ হলো, অন্য পেশার বিপরীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কোনো কাজের অভাব হয় না। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অন্যের অধীনে চাকরি না করেও ফ্রিল্যান্সিং করেও ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে মোটামুটি গ্রাফিক্সের সবধরনের কাজ পাওয়া যায়। গ্রাফিক ডিজাইন একই সাথে আনন্দদায়ক এবং সৃজনশীল। গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি শিল্প যা পেশা হিসেবে নিলে হাজার ডলার ইনকাম করার পাশাপাশি পেশাগত সম্মানও পাওয়া যায় প্রচুর। যদি আপনার মাঝে ক্রিয়েটিভিটি থাকে আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন নিজেকে। আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোতে ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনারের সফলতা অনেক বেশি। গ্রাফিক্স ডিজাইনে আউটসোর্সিং বা প্রোডাক্ট বেইজড কাজ করতে হলে আপনাকে আন্তর্জাতিক মানের গ্রফিক্স এর কাজ শিখতে হবে| নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের ডিজাইনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে প্রচুর প্রাকটিস করতে হবে এবং ডিজাইন ট্রেন্ড সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন আউটসোর্সিং কাজের ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস:
গ্রাফিক্স প্রতিযোগীতাঃ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে সবাই ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন সাবমিটের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে এবং যে বিজয়ী হয়, সে ঐ প্রতিযোগিতার নির্ধারিত অর্থ পায়। এই ধরনের প্রতিযোগিতা হয় এমন উল্লেখ যোগ্য সাইট হচ্ছেঃ
www.99designs.com
www.freelancer.com/contest
ডিজাইন বিক্রিঃ আবার কিছু কিছু সাইট আছে, যেখানে আপনার তৈরি বিভিন্ন আইটেম আপলোড করে রাখবেন এবং সেগুলো বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। যেমনঃ
www.graphicriver.net
www.creativemarket.com
www.codegrape.com
www.designcrowd.com
www.freelancer.com/marketplace
বিড করে কাজ : আবার কিছু কিছু সাইট আছে, যেখানে ক্লাইন্টের জবে বিড করে কাজ করা যায়। যেমনঃ
www.upwork.com
www.freelancer.com
www.peopleperhour.com
www.guru.com
অন্যান্যঃ উপরে উল্লেখিত সাইট গুলো ছাড়াও আরও অনেক সাইট রয়েছে যেখান থেকেও প্রচুর গ্রাফিক্সের কাজ পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ www.fiverr.com
কিভাবে গ্রাফিক ডিজাইন শিখবেনঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইন করা অনেক জটিল কাজ, প্রায় সবাই এটা শিখতে পারে না। অনেকেই আছেন যাদের অনেক দিনের শখ যে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন কিন্তু সময়ের অভাবে বা ভাল কোন গাইডলাইন না পাওয়ার কারণে শিখে উঠতে পারছেন না। গ্রাফিক ডিজাইন আপনি তিনটি মাধ্যমে শিখতে পারেন। ইন্টারনেটে টিউটরিয়াল দেখে দেখে অথবা ভাল কোন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনারের কাছ থেকে অথবা ভাল কোন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষন নিতে পারেন।
১) ইন্টারনেটে টিউটরিয়াল দেখে দেখে:
আপনি নেট ঘেটে বিভিন্ন টিউটোরিয়েল দেখে বা পড়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান তাহলে আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে কারন এগুলোর টিউটোরিয়েল ইংরেজিতেই বেশি পরিমাণে থাকে । গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার নেটে প্রচুর ইংরেজি টিউটোরিয়াল পাবেন । তাছাড়াও ইউটিবে সার্চ করে অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল পাবেন । সেগুলো দেখাও শেখতে পারবেন তবে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম, ধৈর্য, সময় ব্যয় করতে হবে এর পিছনে ।
যেমন আপনি ফটোশপ শিখবেন, তাহলে গুগলে সার্চ দিন “Photoshop tutorial” “Photoshop video tutorial” লিখে দেখবেন প্রচুর টিউটরিয়ার পাবেন। সেগুলো দেখে শিখতে পারেন তবে এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে আপনি সিলিয়াল অনুযায়ী টিউটরিয়াল সব সময় পাবেন না বা কোন একটি বিষয় না বুজলে আপনাকে কেউ এটি সমাধান করে দিবে না যা একেবারে নতুনদের জন্য একটি বড় সমস্যা। ইন্টারনেট থেকে ভিডিও টিউটরিয়াল দেখে শিখতে হলে আপনাকে গুগল সার্চে দক্ষতা থাকতে হবে। দ্রুত কোন সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা থাকতে হবে।
এছাড়া অনেক অনেক আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান আছে, যারা অনলাইন এর মাধ্যমে ট্রেনিং দিচ্ছে সাথে সারটিফিকেট ও। যেটা marketplace গুলোতে কাজের জন্য খুব দরকার। আজকে এরকম কিছু সাইটের url-link নিচে দেওয়া হল। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।
অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স করা যাবে যেসব সাইটে:
https://www.lynda.com/
https://www.edx.org/
http://www.infiniteskills.com/graphic-design-training/
http://kelbyone.com/course/cbarker_ccillustrator_beyondbasics/
http://www.ed2go.com/
http://www.skilledup.com/courses/indesign-cc-essentials.118605
http://tutsplus.com/
http://www.digitaltutors.com/tutorial/721-CG101-Graphic-Design
https://www.creativelive.com/design
https://www.udacity.com/
বাজারে ইলাস্ট্রেটরসেহ বিভিন্ন ডিজাইনের জন্য বই ও সিডি আছে। সেগুলো দেখেও শিখতে পারেন।
অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার সেরা ২১টি ওয়েবসাইট
২) ভাল কোন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনারের কাছ থেকে:
এটি গ্রাফিক ডিজাইন শেখার সবচেয়ে ভাল পদ্বতি । সবচেয়ে ভাল হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন কেউ পারে তার কাছ থেকে সরাসরি শেখা, এক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস (upwork.com freelancer.com peopleperhour.com) অথবা প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে (graphicriver.net) কাজ করে এমন একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের কাছ থেকে শিখতে পারেন। এভাবে দ্রুত শিখা সম্ভব। যার কাছ থেকে শিখবেন অবশ্যই তার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন, মার্কেটপ্লেসে তার প্রোফাইল দেখে নিতে পারেন। তবে এক্ষত্রে একটি ছোটখাট সমস্যা হচ্ছে নতুনরা অনেকাংশেই জানে না কিভাবে একজন ভাল গ্রাফিক ডিজাইনার খুজে পাওয়া যাবে বা অনেকাংশেই সে একজন ডিজাইনারকে মেজারম্যান্ট করতে পারে না। উপরন্তু বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনারবাসায় বসে কাজ করে ফলে তাকে খুখে বের করাও একটু কঠিণ।
২) ভাল কোন প্রতিষ্ঠান বা ট্রেনিং সেন্টার থেকে:
ট্রেনিং করবেন তো কোথায়? আসলে নির্দিষ্ট করে গ্রাফিকস ডিজাইনের প্রতিষ্ঠানের নাম বলা কঠিন। সব প্রতিষ্ঠানেই কিছু না কিছু কোনো না কোনোভাবে শেখায়। কারোটা সহজ আবার কারোটা একটু জটিল। প্রথমে কোন ট্রেনিং সেন্টার বা প্রশিক্ষকের অধীনে শিখলে ভালো শেখা যায়। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা সত্যি আন্তরিক ভাবে শেখায়। এছাড়া সরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখতে পারেন। খোঁজ-খবর নিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
এখন ঢাকা শহর সহ দেশের আনাচে-কানাচে আনেক গ্রাফিকস ডিজাইন ট্রেনিং দেওয়া হয়। প্রতিটি শহরে মফস্বলেও আছে ট্রেনিং পাঁচ হাজার ২০,০০০ টাকায় শিখতে পারেন।
ভালো প্রতষ্ঠিান বাছাই করতেটি নিচের কয়েকটি স্টেপ আপনি অনুসরন করতে পারেন –
ক. প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের তথ্য দেখুন। একটি ভালো প্রতিষ্ঠানের অবশ্যই ইনফরমেটিভ ও প্রফেশনাল ওয়েবসাইট থাকবে।
খ. প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালকদের খোজ নিন, দেখুন তারা যতাযথ এক্সপার্ট কিনা।
গ. আপনি যে বিষয় শিখবেন সে বিষয়ের প্রশিক্ষকদের সম্পর্কে খোজ নিন। তাদের মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইল/ সাকসেস রেট জানার চেষ্ঠা করুন। ট্রেইনার ভালো হলে ভালো শেখা যায়।
ঘ. প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্রদের ফিডবেক জানার চেষ্ঠা করূন।
কোথায় কোর্স করবেন
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর একাডেমিক কোর্স রয়েছে। সেগুলো অবশ্য অনেকটা ব্যয়বহুল এবং কোর্সগুলোও দীর্ঘমেয়াদি। যারা উচ্চ পর্যায়ের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে আগ্রহী, তারা এসব প্রতিষ্ঠানে কোর্স করতে পারেন আর যাদের হাতে সময় কম তারা বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন ট্রেনিং সেন্টার থেকে তিন বা ছয় মাসের কোর্সও করতে পারেন। এছাড়া যুব উন্নয়ন অধিদফতর এ ধরনের কোর্স পরিচালনা করে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের উপর বিভিন্ন মেয়াদি কোর্স করানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএর ইউ অ্যান্ড আই অ্যালায়েন্সের অধীনে রয়েছে ১ বছর ও ৪ মাস মেয়াদি গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স। এই কোর্সে শেখানো হয়—বেসিক অ্যাপ্লিকেশন কোর্স, প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ফান্ডামেন্টাল অব গ্রাফিক্স ডিজাইন। ইলাস্ট্রেশন, এডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, কোরেল ড্রো, অটো ক্যাড, থ্রিডি অ্যানিমেশন। এটা হাতে-কলমে শেখার বিষয়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য কেমন কনফিগারেশনের কম্পিউটার কিনবেন? ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ?
ডিজাইন করার ক্ষেত্রগুলো কী কী?
গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে আমরা সেই সব চিত্রকর্মকে বুঝি যা মূলত ছাপার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে প্রযুক্তির প্রয়োজনে গ্রাফিক্স ডিজাইন শুধুমাত্র ছাপার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর একান্তই অন্তর্ভুক্ত বিষয় গুলি হচ্ছে –
১। লোগো ডিজাইন ২। ভিজিটিং বা বিজনেস কার্ড ডিজাইন ৩। ওয়েবসাইট পিএসডি টেম্পলেট ডিজাইন ৪। ওয়েব ব্যানার ডিজাইন ৫। বুক কভার ডিজাইন ৬। টি-শার্ট ডিজাইন ৭। পোস্ট কার্ড ডিজাইন ৮। অ্যাড ব্যানার ডিজাইন ৯। আইকোন ডিজাইন ১০। ডিজিটাল ইমেজ প্রসেসিং ১১। ব্রোশিয়ার ডিজাইন ১২। মোবাইল অ্যাপ/ইউআই ডিজাইন ১৩। ক্যালেন্ডার ডিসাইন ১৪। টাইপোগ্রাফি ১৫। ফটো এডিটিং, রিটাচিং ও ম্যানিপুলেশন ১৬। বিলবোর্ড ১৭। প্যাকেজিং ১৮। পোস্টার ১৯। ম্যাগাজিন লেআউট ইত্যাদি।
এডোবি ইলাস্ট্রেটরের প্রয়োজনীয় কীবোর্ড শর্টকাট
প্রফেশনাল হতে যেসব বিষয়ে যত্নবান হতে হবেঃ
-> অবশ্যাই ভালভাবে কাজ শিখতে হবে।
-> নিজের ডিজাইনের মাঝে স্বতন্ত্রতা ও বৈচিত্রতা রাখা।
-> নিজেকে ট্রেন্ডের সাথে আপ-টু-ডেট রাখা।
-> প্রতিষ্ঠিত ডিজাইনারদের কাজ অনুসরণ করা।
-> কাজের স্যাম্পল টেম্পলেট/ পোর্টফলিও তৈরি করে রাখা।
-> নিজের মার্কেটিং করা। আপনি আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনকে সাজিয়ে তুলতে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন সম্ভাবনাময় পেশা গ্রাফিক্স ডিজাইন। আত্মবিশ্বাস ও নান্দনিক শিল্পবোধসমৃদ্ধ যে কেউ এ পেশার মাধ্যমে নিজেকে সাফল্যের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শুধু অর্থ নয় পেশাগত চ্যালেঞ্জও উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে এ পেশায়। দিন দিন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদাও বাড়ছে এবং ভবিষ্যতকে সম্ভাবনাময়ও ভালো।